ফ্রিল্যান্স টিউটোরিয়াল পর্ব-১ :ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রাথমিক ধারনা

অনলাইনে আয়- বর্তমানে প্রযুক্তির দুনিয়ায় একটি প্রতিষ্ঠিত বিষয়।অনেকেই জানতে চান কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে  আয় করা যায়।কিন্তু সঠিক দিক নিদের্শনার অভাবে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়টি বুঝতে পারেন না।তাদের জন্যই আজকে থেকে আমি পিসি হেলপলাইনে শুরু করলাম ফ্রিল্যান্সিং টিউটোরিয়াল।ধারাবাহিক এই টিউটোরিয়ালে আমি চেষ্টা করবো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার প্রকৃত নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।ধাপে ধাপে প্রতিটি পর্বে সহজভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নিয়মগুলো জানাবো।





function changeimage(imagenum,newfilename)
{
document.images[imagenum].src=newfilena


তবে এটা মনে রাখবেন,তথ্য জানলেই আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে পারবেন-এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারবো না।আপনি যদি অধৈর্য অথবা অস্থির মানসিকতার হন তাহলে এই টিউটোরিয়াল আপনার জন্য নয় ।
যাহোক ,এতো কথা বাদ দিয়ে আজ প্রথম পর্বে জেনে নিই কিছু প্রাথমিক তথ্য-

ফ্রিল্যান্সি কি ?
ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা।প্রযুক্তির আর্শীবাদে আপনি চেষ্টা করলেই হয়ে যেতে পারেন ফ্রিল্যান্সার।

এই পেশায় আয় কেমন ?
আপনি অস্থির মনের অধিকারী হলে আপনার জন্য এই পেশায় কোন আয় নেই।ধৈর্যশীল হলে মোটামোটি আয় করতে পারবেন।আর যদি সৃজনশীলতা,কম্পিউটার দক্ষতা,ইন্টারনেটে আপডেট রাখতে পারেন নিজেকে তাহলে এই পেশায় আপনার জন্য ভালো আয়ের মাধ্যম হতে পারে।তবে মনে রাখবেন এটি এমন একটি পেশা যেখানে আয়ের অংক নির্দিষ্ট নয়,কখনো কম বা কখনো বেশী হতে পারে ।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বিশাল একটি বাজার।সারাবিশ্বের উন্ন্ত দেশগুলোতে এটি প্রতিষ্ঠিত পেশা ।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো কোথা থেকে ?
যেসব সাইট ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য উন্মুক্ত তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মাকের্টপ্লেস।যেমন www.odesk.com, www.freelancer.com এই দুটি সাইট বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।এসব সাইটে যারা কাজ দিয়ে থাকে তাদেরকে বলা হয় buyer/client ।এই সাইটগুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য কাজ জমা দেয়া থাকে।এসব কাজের জন্য যারা আবেদন করে তাদেরকে বলা হয় provider
 কিসের কাজ দেয়া হয় ?
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজের জন্য রয়েছে অসংখ্য কাট্যাগরী ।যেমন ডাটা এন্ট্রি,ডিজাইনিং,আর্টিকেল রাইটিং, ইত্যাদি

কাজের ধরন কেমন ?
সাধারনত একটি কাজের জন্য অসংখ্য provider আবেদন করে থাকে।কাজটি কত দিনে কত টাকায় শেষ করতে হবে তার বর্ননা লেখা থাকে।ক্লায়েন্ট যাকে খুশী নির্বাচন করতে পারেন।তবে সাধারনত যাদের পূর্ব কাজের এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে তারাই অগ্রাধিকার পায় বেশী ।provider নিয়োগ করার পর ক্লায়েন্ট নিদির্ষ্ট পরিমান অর্থ সাইটে জমা দেয় যা কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রোভাইডার পেয়ে যায়।কাজেই কাজ করে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা এখানে রয়েছে।তবে সবকিছুর জন্য সাইট নিদির্ষ্ট পরিমান চার্জ কেটে নেবে।
প্রথম পর্বে ফ্রিল্যান্সিং সমন্ধে প্রাথমিক ধারনাগুলে দেয়ার চেষ্টা করলাম।
আগামী পর্বে থেকে সরাসরি ফ্রিল্যান্স সাইটগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করবো।এই ধারাবাহিকতায় আগামী পর্বে আপনারা আমার সাথে www.odesk.com সমন্ধে জানতে পারবেন।সে পর্যন্ত বিদায়।আর হ্যা, জানাতে ভুলবেন না আপনারা ফ্রিল্যান্সের কোন বিষয়গুলে জানতে চান।

3 comments:

  • I ! says:
    November 27, 2011 at 10:07 PM

    খুবই ভাল লগল।আমি গল্প লিখছি,ইংলিশে। ব্লগ এ লিখে কি ভাবে আয় করা সম্ভব,জানাবেন। আপনাকে অনেক আনেক ধ্নবাদ।

    নোমান সারকার

  • I ! says:
    November 27, 2011 at 10:14 PM

    খুবই ভাল লাগল । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

    আমি গল্প লিখছি,ইংলিশে।কিভাবে আয় করব ব্লগ লেখে,জানাবেন।

    মোঃ নোমান সারকার

  • Digitaladdaroom says:
    March 12, 2013 at 7:43 AM

    Vai, darun post. Odesk Tutorial kobe post diben?